Section 12 of RTI Act : ধারা ১২: কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনের গঠন
The Right To Information Act 2005
Summary
ধারা ১২ অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় সরকার কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশন গঠন করবে যা তথ্যের অধিকার আইনের অধীনে প্রদত্ত ক্ষমতা ও কার্য সম্পাদন করবে। এই কমিশন প্রধান তথ্য কমিশনার এবং প্রয়োজনীয় মনে করলে দশজন পর্যন্ত তথ্য কমিশনার নিয়ে গঠিত হবে। রাষ্ট্রপতি একটি কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে কমিশনারদের নিয়োগ করবেন, যেখানে প্রধানমন্ত্রী, লোকসভার বিরোধী দলীয় নেতা এবং প্রধানমন্ত্রীর মনোনীত একজন মন্ত্রী অন্তর্ভুক্ত থাকবেন। প্রধান তথ্য কমিশনার কমিশনের কাজের তত্ত্বাবধান করবেন এবং স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। কমিশনারদের জনজীবনে বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব হতে হবে এবং তারা কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারবেন না বা সংসদ সদস্য হতে পারবেন না। কমিশনের প্রধান অফিস দিল্লিতে থাকবে।
JavaScript did not load properly
Some content might be missing or broken. Please try disabling content blockers or use a different browser like Chrome, Safari or Firefox.
Explanation using Example
ধরুন একজন সাংবাদিক, যার নাম রবি, যিনি জনস্বার্থে রিপোর্টিংয়ের বিশেষজ্ঞ। রবি একটি সরকারি প্রকল্প সম্পর্কে তদন্ত করছেন যা অনগ্রসরদের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসন প্রদান করতে চায়। তিনি সন্দেহ করছেন যে তহবিলের অদক্ষতা হয়েছে, কিন্তু এটি নিশ্চিত করার জন্য তার আরো তথ্য প্রয়োজন।
রবি প্রকল্পের বাজেট এবং বিতরণ রেকর্ডের বিস্তারিত জানতে একটি তথ্যের অধিকার (RTI) আবেদন দায়ের করেন। তার আবেদন সংশ্লিষ্ট সরকারি বিভাগ দ্বারা প্রাথমিকভাবে অস্বীকার করা হয়, তাই তিনি আপিল করার সিদ্ধান্ত নেন।
আপিলটি কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনের (CIC) কাছে যায়, যা ২০০৫ সালের তথ্যের অধিকার আইনের ১২ নম্বর ধারার অধীনে গঠিত হয়েছিল। CIC, প্রধান তথ্য কমিশনার এবং দশজন পর্যন্ত অন্যান্য তথ্য কমিশনারদের নিয়ে গঠিত, রবি'র মামলাটি পর্যালোচনা করে।
আইন অনুযায়ী, প্রধান তথ্য কমিশনার এবং তথ্য কমিশনাররা যারা আইন এবং সাংবাদিকতা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তিরা, প্রধানমন্ত্রীর, লোকসভার বিরোধী দলীয় নেতা এবং প্রধানমন্ত্রীর মনোনীত একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার মন্ত্রীর সুপারিশের ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত।
দলিলগুলি পর্যালোচনা করার এবং রবি'র যুক্তি শোনার পরে, CIC তার ক্ষমতা স্বতন্ত্রভাবে প্রয়োগ করে, রবি'কে অনুরোধকৃত তথ্য সরবরাহ করতে সংশ্লিষ্ট সরকারি বিভাগকে নির্দেশ দেয়, যার মাধ্যমে সে তার তদন্ত সম্পন্ন করতে এবং সরকারি তহবিলের সম্ভাব্য অপব্যবহারের উপর রিপোর্ট করতে সক্ষম হয়।