Article 217 of CoI : অনুচ্ছেদ ২১৭: উচ্চ আদালতের বিচারকের নিয়োগ এবং কার্যালয়ের শর্তাবলী।
Constitution Of India
Summary
উচ্চ আদালতের প্রতিটি বিচারক রাষ্ট্রপতির দ্বারা নিয়োগপ্রাপ্ত হন এবং এই নিয়োগ জাতীয় বিচারিক নিয়োগ কমিশনের সুপারিশে এবং রাজ্যের রাজ্যপালের পরামর্শে হয়। বিচারকরা তাদের পদ থেকে পদত্যাগ করতে পারেন বা রাষ্ট্রপতি দ্বারা অপসারিত হতে পারেন। বিচারক হিসেবে নিয়োগের জন্য অন্তত দশ বছর বিচারিক পদে বা উচ্চ আদালতে আইনজীবী হিসেবে কাজ করা আবশ্যক। বিচারকের বয়স নিয়ে প্রশ্ন উঠলে, রাষ্ট্রপতি ভারতের প্রধান বিচারপতির সাথে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নেন এবং তার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়।
JavaScript did not load properly
Some content might be missing or broken. Please try disabling content blockers or use a different browser like Chrome, Safari or Firefox.
Explanation using Example
উদাহরণ ১:
পরিস্থিতি: উচ্চ আদালতের বিচারকের নিয়োগ
মিঃ রাজেশ শর্মা, দিল্লি উচ্চ আদালতে ১৫ বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতাসম্পন্ন একজন বিশিষ্ট আইনজীবী, দিল্লি উচ্চ আদালতের বিচারক হিসেবে নিয়োগের জন্য বিবেচিত হচ্ছেন। জাতীয় বিচারিক নিয়োগ কমিশন (NJAC) তার নাম রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ করে। রাষ্ট্রপতি, দিল্লির রাজ্যপাল এবং দিল্লি উচ্চ আদালতের প্রধান বিচারকের সাথে পরামর্শ করে, মিঃ শর্মাকে তার হাত ও সিলমোহর দ্বারা প্রেরিত পরোয়ানার মাধ্যমে দিল্লি উচ্চ আদালতের বিচারক হিসেবে নিয়োগ করেন।
ব্যাখ্যা: এই উদাহরণটি উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগের প্রক্রিয়া প্রদর্শন করে, যেখানে NJAC একজন প্রার্থী সুপারিশ করে এবং রাষ্ট্রপতি, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে পরামর্শ করে, নিয়োগ করেন।
উদাহরণ ২:
পরিস্থিতি: উচ্চ আদালতের বিচারকের পদত্যাগ
বিচারপতি মীরা প্যাটেল, বোম্বে উচ্চ আদালতের একজন বিচারক, ব্যক্তিগত কারণে তার পদ থেকে পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি রাষ্ট্রপতিকে সম্বোধন করে একটি পদত্যাগপত্র লেখেন। তার পদত্যাগপত্র পাওয়ার পর, রাষ্ট্রপতি তা গ্রহণ করেন এবং বিচারপতি প্যাটেলের পদ খালি হয়।
ব্যাখ্যা: এই উদাহরণটি উচ্চ আদালতের বিচারকের পদ থেকে পদত্যাগের প্রক্রিয়া প্রদর্শন করে, যেখানে রাষ্ট্রপতিকে লেখার মাধ্যমে পদত্যাগ করা হয়।
উদাহরণ ৩:
পরিস্থিতি: উচ্চ আদালতের বিচারকের অপসারণ
বিচারপতি অরবিন্দ কুমার, কর্ণাটক উচ্চ আদালতের একজন বিচারক, অসদাচরণের সাথে জড়িত বলে প্রমাণিত হন। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১২৪(৪) এ উল্লিখিত পদ্ধতি অনুসারে, একটি তদন্ত পরিচালিত হয় এবং রাষ্ট্রপতি, রিপোর্ট পাওয়ার পর, বিচারপতি কুমারকে তার পদ থেকে অপসারণের সিদ্ধান্ত নেন।
ব্যাখ্যা: এই উদাহরণটি অসদাচরণের জন্য উচ্চ আদালতের বিচারককে অপসারণের প্রক্রিয়া প্রদর্শন করে, যেখানে একটি তদন্ত এবং রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্ত জড়িত।
উদাহরণ ৪:
পরিস্থিতি: উচ্চ আদালতের বিচারকের স্থানান্তর
বিচারপতি প্রিয়া সিং, কলকাতা উচ্চ আদালতের একজন বিচারক, ভারতের রাষ্ট্রপতির দ্বারা মাদ্রাজ উচ্চ আদালতে স্থানান্তরিত হন। মাদ্রাজ উচ্চ আদালতে অভিজ্ঞ বিচারকদের প্রয়োজন মেটাতে এই স্থানান্তর করা হয়।
ব্যাখ্যা: এই উদাহরণটি ভারতের মধ্যে এক উচ্চ আদালত থেকে অন্য উচ্চ আদালতে বিচারক স্থানান্তরের জন্য রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা প্রদর্শন করে।
উদাহরণ ৫:
পরিস্থিতি: উচ্চ আদালতের বিচারক হিসেবে নিয়োগের যোগ্যতা
মিঃ অনিল ভার্মা, যিনি উত্তর প্রদেশে ১২ বছর জেলা বিচারক হিসেবে কাজ করেছেন, এলাহাবাদ উচ্চ আদালতের বিচারক হিসেবে নিয়োগের জন্য বিবেচিত হচ্ছেন। যেহেতু মিঃ ভার্মা দশ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিচারিক পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন, তিনি উচ্চ আদালতের বিচারক হিসেবে নিয়োগের যোগ্যতা পূরণ করেন।
ব্যাখ্যা: এই উদাহরণটি উচ্চ আদালতের বিচারক হিসেবে নিয়োগের যোগ্যতার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে, যার মধ্যে অন্তত দশ বছর বিচারিক পদে অধিষ্ঠিত থাকা অন্তর্ভুক্ত।
উদাহরণ ৬:
পরিস্থিতি: উচ্চ আদালতের বিচারকের বয়স সম্পর্কিত বিরোধ
বিচারপতি রমেশ গুপ্ত, পাঞ্জাব ও হরিয়ানা উচ্চ আদালতের একজন বিচারক, তার বয়স সম্পর্কিত একটি বিরোধ দেখা দেয়। ভারতের রাষ্ট্রপতি, ভারতের প্রধান বিচারপতির সাথে পরামর্শ করে, বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেন এবং বিচারপতি গুপ্তের আনুষ্ঠানিক বয়স ঘোষণা করেন, যা চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হয়।
ব্যাখ্যা: এই উদাহরণটি উচ্চ আদালতের বিচারকের বয়স সম্পর্কিত বিরোধ সমাধানের প্রক্রিয়া প্রদর্শন করে, যেখানে ভারতের প্রধান বিচারপতির সাথে পরামর্শের পর রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়।