Section 22 of SMA : ধারা ২২: বৈবাহিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা

The Special Marriage Act 1954

Summary

যদি স্বামী বা স্ত্রী কোনও যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়াই একে অপরের সঙ্গ ত্যাগ করে, তাহলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি জেলা আদালতে আবেদন করতে পারেন তাদের সঙ্গীর পুনরাগমনের জন্য। আদালত যদি আবেদনটি সঠিক বলে মনে করে এবং এর বিরুদ্ধে কোনও আইনগত বাধা না থাকে, তবে আদালত সঙ্গীকে পুনরায় একত্রিত হওয়ার আদেশ দিতে পারেন।

সরল ব্যাখ্যা - যদি সঙ্গ ত্যাগের কারণ নিয়ে বিতর্ক থাকে, তাহলে সঙ্গ ত্যাগকারী ব্যক্তিকে তার কারণ বৈধ প্রমাণ করতে হবে।

JavaScript did not load properly

Some content might be missing or broken. Please try disabling content blockers or use a different browser like Chrome, Safari or Firefox.

Explanation using Example

ধরা যাক প্রিয়া এবং রাজ বিশেষ বিবাহ আইনে বিয়ে করেছেন। এক বছর পরে, রাজ কাজ এবং তার বন্ধুদের সাথে বেশি সময় কাটাতে শুরু করে, প্রায়শই প্রিয়াকে না জানিয়েই দেরিতে বাড়ি আসে। প্রিয়া অবহেলিত বোধ করেন এবং বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করেন, কিন্তু রাজ তার উদ্বেগকে গুরুত্ব দেন না। অবশেষে, রাজ কোনও ব্যাখ্যা ছাড়াই দিনের পর দিন বাড়ি আসা বন্ধ করে দেন। প্রিয়া নিজেকে পরিত্যক্ত বোধ করে এবং তার বৈবাহিক অধিকার পুনরুদ্ধারে আইনি সাহায্য নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

প্রিয়া ১৯৫৪ সালের বিশেষ বিবাহ আইনের ধারা ২২ অনুসারে জেলা আদালতে একটি পিটিশন দাখিল করেন বৈবাহিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য। তার পিটিশনে, তিনি উল্লেখ করেন যে রাজ তার সঙ্গ থেকে যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়াই সরে গেছেন। আদালত উভয় পক্ষকে শোনে এবং দেখতে পায় যে রাজের আচরণে যুক্তিসঙ্গত কারণের অভাব আছে। যেহেতু আবেদনটি অস্বীকার করার কোনও আইনগত কারণ নেই, আদালত বৈবাহিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার আদেশ দেন, যার অর্থ রাজকে আইনত প্রিয়ার সাথে বৈবাহিক বাড়িতে ফিরে যেতে এবং বসবাস করতে বাধ্য করা হয়।