Section 137 of RA, 1989 : ধারা ১৩৭: প্রতারণামূলকভাবে সঠিক পাস বা টিকিট ছাড়া ভ্রমণ বা ভ্রমণের চেষ্টা
The Railways Act 1989
Summary
ধারা ১৩৭ অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি যদি প্রতারণার উদ্দেশ্যে রেলওয়ে গাড়িতে প্রবেশ করে বা টিকিট ছাড়া ভ্রমণ করে, তবে তাকে ছয় মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড বা এক হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা যেতে পারে। বিশেষ কারণ না থাকলে জরিমানা কমপক্ষে পাঁচশো টাকা হবে। এছাড়া, তাকে অতিরিক্ত চার্জও পরিশোধ করতে হবে যা সাধারণ একক ভাড়া বা দুইশ পঞ্চাশ টাকা, যেটি বেশি। জরিমানা পরিশোধে ব্যর্থ হলে ছয় মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।
JavaScript did not load properly
Some content might be missing or broken. Please try disabling content blockers or use a different browser like Chrome, Safari or Firefox.
Explanation using Example
ধরা যাক রাজ নামে একজন ব্যক্তি টিকিট না কিনেই ট্রেনে ভ্রমণের সিদ্ধান্ত নেন। তিনি একটি ট্রেন গাড়িতে ঢুকে একটি আসন নেন, আশা করেন যে টিকিট পরিদর্শক তাকে ধরতে পারবেন না। এই কাজটি রেলওয়ে আইন, ১৯৮৯ এর ধারা ১৩৭(১)(ক) এর আওতায় পড়ে, কারণ রাজ ধারা ৫৫ লঙ্ঘন করে ভ্রমণ করছেন, যা যাত্রীদের বৈধ টিকিট প্রদর্শন করার জন্য বাধ্য করে।
যাত্রার সময়, একটি টিকিট পরিদর্শক রাজের কাছে এসে তার টিকিট দেখতে চান। রাজ স্বীকার করেন যে তার কাছে টিকিট নেই এবং তিনি ভাড়া এড়ানোর উদ্দেশ্যে ট্রেনে উঠেছেন। পরিদর্শক তাকে জানান যে এটি একটি অপরাধ এবং রাজ আইনি পরিণামের সম্মুখীন হতে পারেন। ধারা ১৩৭(১) অনুসারে, রাজ ছয় মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড বা এক হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন। এছাড়া, বিশেষ কারণ না থাকলে আদালত সম্ভবত পাঁচশো টাকার ন্যূনতম জরিমানা আরোপ করবে।
আইনি শাস্তির পাশাপাশি, রাজকে ধারা ১৩৭(২) এবং (৩) অনুসারে অতিরিক্ত চার্জও পরিশোধ করতে হবে। এর অর্থ তিনি যে স্টেশন থেকে ট্রেনটি শুরু হয়েছিল সেই স্টেশন থেকে বা যেখানে শেষবার টিকিট পরীক্ষা করা হয়েছিল সেই স্থান থেকে সাধারণ একক ভাড়া এবং অতিরিক্ত চার্জ যা সাধারণ একক ভাড়া বা দুইশ পঞ্চাশ টাকা, যেটি বেশি হবে তা পরিশোধ করতে হবে।
যদি রাজ আদালত কর্তৃক আরোপিত জরিমানা পরিশোধ করতে অক্ষম হন, ধারা ১৩৭(৪) অনুযায়ী আদালত জরিমানার বিকল্প হিসেবে ছয় মাস পর্যন্ত কারাদণ্ডের আদেশ দিতে পারে।