Section 66F of ITA, 2000 : ধারা 66F: সাইবার সন্ত্রাসবাদের জন্য শাস্তি

The Information Technology Act 2000

Summary

ধারা 66F অনুযায়ী, যদি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে ভারতের ঐক্য, অখণ্ডতা, নিরাপত্তা বা সার্বভৌমত্ব হুমকির সম্মুখীন করতে বা জনগণে সন্ত্রাস সৃষ্টির উদ্দেশ্যে কম্পিউটার সম্পদে অনুমতি ছাড়া প্রবেশ করে এবং ক্ষতিকারক সফটওয়্যার প্রবর্তন করে, তাহলে এটি সাইবার সন্ত্রাসবাদের অপরাধ। সাইবার সন্ত্রাসবাদে জড়িত কেউ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পর্যন্ত শাস্তি পেতে পারে।

JavaScript did not load properly

Some content might be missing or broken. Please try disabling content blockers or use a different browser like Chrome, Safari or Firefox.

Explanation using Example

আসুন একটি কাল্পনিক পরিস্থিতি বিবেচনা করি। জনাব X, একজন দক্ষ হ্যাকার, ব্যক্তিগত কারণে ভারতের প্রতি ক্ষোভ ধারণ করেন। তিনি জাতীয় ডিজিটাল পরিকাঠামো বিঘ্নিত করে তার রাগ প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নেন। এর জন্য তিনি একটি সরকারি বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ কম্পিউটার সম্পদে অনুমতি ছাড়া প্রবেশ করেন।

তিনি সিস্টেমে একটি ক্ষতিকারক সফটওয়্যার, একটি 'কম্পিউটার দূষক', প্রবর্তন করেন। এই সফটওয়্যারটি অনুমোদিত কর্মীদের প্রবেশাধিকার অস্বীকার করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, ফলে বিভাগের কার্যক্রমে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। বিঘ্নের ফলে সম্পত্তির উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয় এবং সম্প্রদায়ের জন্য প্রয়োজনীয় সেবায়ও বিঘ্ন ঘটে। আরও, জনাব X রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও বিদেশী সম্পর্ক সংক্রান্ত সংবেদনশীল ডাটা অ্যাক্সেস করেন, ভারতের স্বার্থ ক্ষতির উদ্দেশ্যে এই ডাটা ব্যবহারের ইচ্ছা নিয়ে।

এই পরিস্থিতিতে, জনাব X-এর কর্মসূচি সাইবার সন্ত্রাসবাদের অধীনে ধারা 66F অনুযায়ী সংজ্ঞায়িত হয়। ধরা পড়লে এবং দোষী সাব্যস্ত হলে, জনাব X তার কর্মের জন্য যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সম্মুখীন হতে পারেন।