Section 132 of IEA : ধারা ১৩২: সাক্ষী কৃত অপরাধের উত্তর দেওয়ার জন্য অজুহাত দিতে পারবেন না।

The Indian Evidence Act 1872

Summary

যে কোনো দেওয়ানি বা ফৌজদারি মামলায় প্রাসঙ্গিক প্রশ্নের উত্তর দিতে সাক্ষী অস্বীকার করতে পারবেন না, এমনকি যদি উত্তর তাকে অপরাধে জড়িত করে বা শাস্তির সম্মুখীন করে। তবে, বাধ্যতামূলকভাবে দেওয়া কোনো উত্তর গ্রেফতার বা বিচার জন্য ব্যবহার করা যাবে না, যদি না সে মিথ্যা প্রমাণ দেয়।

JavaScript did not load properly

Some content might be missing or broken. Please try disabling content blockers or use a different browser like Chrome, Safari or Firefox.

Explanation using Example

উদাহরণ ১:

পরিস্থিতি: একটি ব্যাংক প্রতারণা মামলার বিচার চলছে আদালতে। প্রসিকিউশন ব্যাংকের কর্মচারী মি. শর্মাকে সাক্ষী হিসেবে ডাকেন। প্রশ্নোত্তরের সময়, মি. শর্মাকে জিজ্ঞাসা করা হয় যে তিনি ব্যাংকে কোনো প্রতারণামূলক লেনদেন সম্পর্কে জানতেন কি না।

ধারা ১৩২-এর প্রয়োগ: মি. শর্মা প্রশ্নের উত্তর দিতে অস্বীকার করতে পারবেন না যে তার উত্তর তাকে অপরাধে জড়িত করতে পারে বা শাস্তির সম্মুখীন করতে পারে এই অজুহাতে। তাকে প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে হবে। তবে, আইন তাকে সুরক্ষা দেয় যে তার উত্তর তাকে গ্রেফতার বা প্রতারণার জন্য বিচারের মুখোমুখি করবে না, কেবল যদি তিনি শপথের অধীনে মিথ্যা বলেন।

পরিণাম: মি. শর্মা জানান যে তিনি প্রতারণামূলক লেনদেন সম্পর্কে জানতেন। এই তথ্য আদালতকে প্রতারণার মাত্রা বোঝাতে সহায়তা করে। মি. শর্মা তার সাক্ষ্যভিত্তিক জড়িত থাকার জন্য বিচারের মুখোমুখি হওয়া থেকে রক্ষা পান, তবে পরে যদি প্রমাণ হয় যে তিনি মিথ্যা বলেছেন, তাহলে মিথ্যা প্রমাণ দেওয়ার জন্য তার বিরুদ্ধে বিচার হতে পারে।

উদাহরণ ২:

পরিস্থিতি: একটি দেওয়ানি মামলা সম্পত্তি বিরোধ নিয়ে, মিসেস গুপ্তাকে সাক্ষী হিসেবে ডাকা হয়। তাকে জিজ্ঞাসা করা হয় যে তিনি কি সম্পত্তি নথিতে স্বাক্ষর জাল করেছিলেন কি না।

ধারা ১৩২-এর প্রয়োগ: মিসেস গুপ্তা প্রশ্নের উত্তর দিতে অস্বীকার করতে পারবেন না যে তার উত্তর তাকে অপরাধে জড়িত করতে পারে বা শাস্তির সম্মুখীন করতে পারে এই অজুহাতে। তাকে আইনীভাবে প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। তবে, তার উত্তর তাকে গ্রেফতার বা জালিয়াতির জন্য বিচারের মুখোমুখি করবে না, কেবল যদি তিনি মিথ্যা প্রমাণ দেন।

পরিণাম: মিসেস গুপ্তা স্বীকার করেন যে তিনি স্বাক্ষর জাল করেছিলেন। এই স্বীকারোক্তি সম্পত্তি বিরোধ সমাধানে সহায়ক হয়। মিসেস গুপ্তা এই স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে জালিয়াতির জন্য বিচারের মুখোমুখি হওয়া থেকে রক্ষা পান, তবে পরে যদি প্রমাণ হয় যে তিনি মিথ্যা বলেছেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রমাণ দেওয়ার জন্য বিচার হতে পারে।