Section 113 of BNS : ধারা ১১৩: সন্ত্রাসী কার্যকলাপ।
The Bharatiya Nyaya Sanhita 2023
Summary
ধারা ১১৩ অনুযায়ী, যে কেউ ভারতের ঐক্য, অখণ্ডতা, সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা বা অর্থনৈতিক নিরাপত্তাকে হুমকি দেওয়ার উদ্দেশ্যে বা জনগণের মধ্যে সন্ত্রাস সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে কাজ করে, তাকে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের জন্য দায়ী করা হয়। এই ধরনের কার্যকলাপের জন্য কঠোর শাস্তি রয়েছে, যেমন মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, এবং জরিমানা। এছাড়া, সন্ত্রাসী কার্যকলাপের প্রশিক্ষণ শিবির পরিচালনা, সদস্য নিয়োগ, এবং সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সুবিধা দেওয়ার জন্যও শাস্তি রয়েছে। যদি কেউ সন্ত্রাসী কার্যকলাপের মাধ্যমে অর্জিত সম্পত্তি রাখে, তবে তাকে কঠোর শাস্তি দেওয়া হয়। তবে, যদি স্বামী বা স্ত্রী অপরাধীকে লুকায়, তাহলে শাস্তি প্রযোজ্য নয়।
JavaScript did not load properly
Some content might be missing or broken. Please try disabling content blockers or use a different browser like Chrome, Safari or Firefox.
Explanation using Example
উদাহরণ ১:
রবি, একজন অসন্তুষ্ট ব্যক্তি, দিল্লির একটি ভিড় বাজারে বোমা স্থাপন করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার সিদ্ধান্ত নেয়। তার উদ্দেশ্য হলো ভয় সৃষ্টি করা এবং মানুষের দৈনন্দিন জীবন বিঘ্নিত করা। বোমাটি বিস্ফোরিত হয়, কয়েকজন মানুষ আহত হয় এবং কাছাকাছি দোকানগুলিতে উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়। ভারতীয় ন্যায় সনহিতা ২০২৩ এর ধারা ১১৩ অনুযায়ী, রবির কার্যকলাপ সন্ত্রাসী কার্যকলাপ হিসাবে বিবেচিত হয় কারণ সে সন্ত্রাস সৃষ্টি করার এবং আঘাত এবং সম্পত্তির ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে বিস্ফোরক পদার্থ ব্যবহার করেছে। যদি কোনো মৃত্যু ঘটে তবে রবি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা এমনকি মৃত্যুদণ্ডের সম্মুখীন হতে পারে।
উদাহরণ ২:
অর্জুনের নেতৃত্বে একটি ব্যক্তির দল মহারাষ্ট্রের একটি দূরবর্তী এলাকায় একটি গোপন প্রশিক্ষণ শিবির পরিচালনা করছে বলে জানা যায়। তারা সরকারি ভবনগুলিতে আক্রমণ করার উদ্দেশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র এবং বিস্ফোরক ব্যবহারে নিয়োগপ্রাপ্তদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। ধারা ১১৩ অনুযায়ী, বিশেষত ধারা (৪), অর্জুন এবং তার সহযোগীরা সন্ত্রাসী কার্যকলাপের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য শিবির সংগঠিত করছে। তারা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পর্যন্ত বাড়তে পারে এমন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হতে পারে এবং জরিমানা দিতে হবে।
উদাহরণ ৩:
মীরা, একটি সন্ত্রাসী সংগঠনের সদস্য, একটি বড় পরিমাণ জাল ভারতীয় মুদ্রা নিয়ে ধরা পড়ে। সে এই অর্থ সন্ত্রাসী কার্যকলাপের জন্য ব্যবহার করতে এবং ভারতীয় অর্থনীতিকে অস্থিতিশীল করতে চেয়েছিল। ধারা ১১৩ অনুযায়ী, বিশেষত ধারা (১)(ক)(iv), মীরার জাল মুদ্রা রাখার কার্যকলাপ ভারতের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ হিসাবে বিবেচিত হয়। সে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পর্যন্ত বাড়তে পারে এমন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হতে পারে এবং জরিমানা দিতে হবে।
উদাহরণ ৪:
রাজেশ, একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, একটি সন্ত্রাসী দলের জন্য প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করে তাদেরকে সরকারি ডাটাবেসে হ্যাক করতে সাহায্য করছে বলে জানা যায়। তার কার্যকলাপ অপরিহার্য পরিষেবার বিঘ্ন ঘটিয়ে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সুবিধা দেয়। ধারা ১১৩ অনুযায়ী, বিশেষত ধারা (৩), রাজেশের সচেতনভাবে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সুবিধা দেওয়ার কার্যকলাপের জন্য যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পর্যন্ত বাড়তে পারে এমন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হতে পারে এবং জরিমানা দিতে হবে।
উদাহরণ ৫:
প্রিয়া, একজন পরিচিত সন্ত্রাসীর স্ত্রী, তার স্বামীকে তাদের বাড়িতে লুকিয়ে রাখছে, জেনে যে সে কয়েকটি সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করেছে। তবে, ধারা ১১৩ অনুযায়ী, বিশেষত ধারা (৬), প্রিয়ার তার স্বামীকে লুকানোর কার্যকলাপ শাস্তিযোগ্য নয় কারণ আইন স্বামী বা স্ত্রীদের জন্য একটি ব্যতিক্রম প্রদান করে। যদি এটি অন্য কেউ হতো, তবে তারা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পর্যন্ত বাড়তে পারে এমন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হতে পারে এবং জরিমানা দিতে হবে।