Section 111 of BNS : ধারা ১১১: সংগঠিত অপরাধ।

The Bharatiya Nyaya Sanhita 2023

Summary

সংগঠিত অপরাধ বলতে চলমান অবৈধ কার্যকলাপ যেমন অপহরণ, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, জমি দখল, অর্থনৈতিক অপরাধ, সাইবার অপরাধ ইত্যাদি বোঝায়, যা কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী সংঘটিত করে। এটি সহিংসতা বা ভয় দেখিয়ে অর্থনৈতিক সুবিধা অর্জনের উদ্দেশ্যে করা হয়। এই অপরাধের জন্য কঠোর শাস্তি রয়েছে, যার মধ্যে মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং জরিমানা অন্তর্ভুক্ত। যদি কেউ এই অপরাধে সাহায্য করে বা পরিকল্পনা করে, তবে তাদেরও কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।

JavaScript did not load properly

Some content might be missing or broken. Please try disabling content blockers or use a different browser like Chrome, Safari or Firefox.

Explanation using Example

উদাহরণ ১:

রবি এবং তার সহযোগীরা গত পাঁচ বছরে একাধিক অবৈধ কার্যকলাপে জড়িত। তারা মুক্তিপণের জন্য অপহরণ, স্থানীয় ব্যবসা থেকে চাঁদাবাজি, এবং গাড়ি চুরির মতো অপরাধ করেছে। তারা একটি সুসংগঠিত গ্যাং হিসেবে কাজ করে, তাদের শিকারদের ভয় দেখাতে হুমকি এবং সহিংসতা ব্যবহার করে। পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে একাধিক চার্জশিট দাখিল করেছে, এবং আদালত এই অপরাধগুলির নোটিশ নিয়েছে। ভারতীয় ন্যায় সনহিতা ২০২৩-এর ধারা ১১১ অনুযায়ী, রবি এবং তার সহযোগীরা সংগঠিত অপরাধের জন্য দোষী। যদি তাদের কার্যকলাপের ফলে কোনো ব্যক্তির মৃত্যু ঘটে, তবে তারা মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সম্মুখীন হতে পারে এবং দশ লক্ষ টাকার কম নয় এমন জরিমানায়ও দণ্ডিত হতে পারে। অন্য ক্ষেত্রে, তারা কমপক্ষে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হতে পারে যা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পর্যন্ত বাড়তে পারে, এবং পাঁচ লক্ষ টাকার কম নয় এমন জরিমানায়ও দণ্ডিত হতে পারে।

উদাহরণ ২:

মীনা, একটি সংগঠিত অপরাধ সিন্ডিকেটের সদস্য, অর্থনৈতিক অপরাধে জড়িত যেমন একটি প্রতারণামূলক বিনিয়োগ স্কিম চালানো যা শত শত মানুষকে প্রতারণা করেছে। সে হাওলা লেনদেন এবং মুদ্রা নোটের নকলেও জড়িত ছিল। পুলিশ গত দশ বছরে তার বিরুদ্ধে একাধিক চার্জশিট দাখিল করেছে, এবং আদালত এই অপরাধগুলির নোটিশ নিয়েছে। ভারতীয় ন্যায় সনহিতা ২০২৩-এর ধারা ১১১ অনুযায়ী, মীনা সংগঠিত অপরাধের জন্য দোষী। তাকে কমপক্ষে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা যেতে পারে যা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পর্যন্ত বাড়তে পারে, এবং পাঁচ লক্ষ টাকার কম নয় এমন জরিমানায়ও দণ্ডিত হতে পারে। অতিরিক্তভাবে, যদি মীনার স্বামী জেনেশুনে তাকে আশ্রয় দেয় বা লুকায়, তবে তাকেও কমপক্ষে তিন বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হতে পারে যা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পর্যন্ত বাড়তে পারে, এবং পাঁচ লক্ষ টাকার কম নয় এমন জরিমানায়ও দণ্ডিত হতে পারে।