Section 30 of BNS : ধারা ৩০: সম্মতি ছাড়াই কোনো ব্যক্তির কল্যাণের জন্য সৎ বিশ্বাসে করা কাজ।

The Bharatiya Nyaya Sanhita 2023

Summary

যদি কোনো কাজ সৎ বিশ্বাসে কোনো ব্যক্তির কল্যাণের জন্য করা হয় এবং সেই ব্যক্তির সম্মতি দেওয়া সম্ভব না হয়, তবে তা অপরাধ নয়। তবে ইচ্ছাকৃতভাবে মৃত্যু ঘটানো, গুরুতর আঘাত করা বা অপরাধের প্ররোচনা দেওয়া এই ব্যতিক্রমের আওতায় আসে না। উদাহরণস্বরূপ, যদি কেউ অচেতন অবস্থায় থাকে এবং তার কল্যাণের জন্য জরুরি অস্ত্রোপচার করা হয়, তবে তা অপরাধ নয়।

JavaScript did not load properly

Some content might be missing or broken. Please try disabling content blockers or use a different browser like Chrome, Safari or Firefox.

Explanation using Example

উদাহরণ ১:

রবি, একজন পর্বতারোহী, একটি দূরবর্তী পর্বত আরোহণ করার সময় পা পিছলে পড়ে যায় এবং অচেতন হয়ে যায়। তার বন্ধু, ডাঃ মেহতা, যিনি একজন পর্বতারোহী এবং প্রশিক্ষিত সার্জনও, বুঝতে পারেন যে রবির মাথায় গুরুতর আঘাত লেগেছে যা তার জীবন বাঁচাতে অবিলম্বে অস্ত্রোপচার প্রয়োজন। দূরবর্তী অবস্থান এবং পরিস্থিতির জরুরিতার কারণে, ডাঃ মেহতা রবির সম্মতি ছাড়াই অস্ত্রোপচার করেন, কারণ রবি অচেতন এবং সম্মতি দেওয়ার জন্য অন্য কেউ নেই। ডাঃ মেহতা রবির কল্যাণের জন্য সৎ বিশ্বাসে কাজ করেন। ভারতীয় ন্যায় সংহিতা ২০২৩ এর ধারা ৩০ অনুযায়ী, ডাঃ মেহতা কোনো অপরাধ করেননি।

উদাহরণ ২:

একটি গ্রামীণ মেলায়, অর্জুন নামে একটি ছোট ছেলে বিষাক্ত সাপের কামড়ে অচেতন হয়ে পড়ে। স্থানীয় চিকিৎসক, মি. শর্মা, জানেন যে অর্জুনের জীবন বাঁচানোর একমাত্র উপায় হল অবিলম্বে প্রতিষেধক প্রয়োগ করা। অর্জুনের বাবা-মা উপস্থিত নেই এবং তাদের সম্মতি নেওয়ার সময় নেই। মি. শর্মা অর্জুনের জীবন বাঁচানোর জন্য সৎ বিশ্বাসে প্রতিষেধক প্রয়োগ করেন। ভারতীয় ন্যায় সংহিতা ২০২৩ এর ধারা ৩০ অনুযায়ী, মি. শর্মা কোনো অপরাধ করেননি।

উদাহরণ ৩:

প্রিয়া, একজন শিক্ষক, তার ছাত্রদের নিয়ে একটি স্কুল ভ্রমণে আছেন যখন ছাত্রদের একজন, রোহান, হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে যায় এবং শ্বাস নিতে থাকে না। প্রিয়া, যিনি প্রাথমিক চিকিৎসার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত, রোহানকে পুনরুজ্জীবিত করতে সিপিআর করেন। রোহানের বাবা-মা উপস্থিত নেই এবং তাদের সম্মতি নেওয়ার সময় নেই। প্রিয়া রোহানের জীবন বাঁচানোর জন্য সৎ বিশ্বাসে কাজ করেন। ভারতীয় ন্যায় সংহিতা ২০২৩ এর ধারা ৩০ অনুযায়ী, প্রিয়া কোনো অপরাধ করেননি।

উদাহরণ ৪:

একটি বন্যার সময়, সুরেশ নামে একজন উদ্ধারকর্মী একটি বৃদ্ধা, মিসেস গুপ্তাকে, যিনি অচেতন এবং তার বাড়িতে আটকা পড়েছেন, খুঁজে পান। জলস্তর দ্রুত বাড়ছে এবং তার পরিবারের কাছ থেকে সম্মতি নেওয়ার সময় নেই। সুরেশ বাড়িতে ভেঙে পড়ে মিসেস গুপ্তাকে নিরাপদে নিয়ে যান, তার জীবন বাঁচানোর জন্য সৎ বিশ্বাসে কাজ করেন। ভারতীয় ন্যায় সংহিতা ২০২৩ এর ধারা ৩০ অনুযায়ী, সুরেশ কোনো অপরাধ করেননি।