Section 3 of BNS : ধারা ৩: সাধারণ ব্যাখ্যা।
The Bharatiya Nyaya Sanhita 2023
Summary
(১) এই আইনে, প্রতিটি অপরাধের সংজ্ঞা, প্রতিটি শাস্তির বিধান এবং উদাহরণগুলি সাধারণ ব্যতিক্রমের সাথে বোঝা উচিত, যদিও সেই ব্যতিক্রমগুলি প্রতিটি ক্ষেত্রে পুনরায় উল্লেখ করা হয় না।
(২) আইনের যে কোনও অংশে ব্যাখ্যা করা প্রতিটি শব্দ, পুরো আইনে একইভাবে ব্যবহৃত হয়।
(৩) যদি কোনও ব্যক্তির স্ত্রী, কেরানি বা কর্মচারী কোনও সম্পত্তি ধরে রাখে, তবে এটি সেই ব্যক্তির দখলে বিবেচিত হয়।
(৪) এই আইনে, যদি স্পষ্টভাবে অন্যথা বলা না হয়, তাহলে কাজের উল্লেখগুলি অবহেলাকেও অন্তর্ভুক্ত করে।
(৫) যদি একাধিক ব্যক্তি একটি অপরাধ সাধারণ অভিপ্রায়ে করে, তবে প্রতিটি ব্যক্তি সেই অপরাধের জন্য দায়বদ্ধ।
(৬) যদি অপরাধের জন্য অপরাধমূলক জ্ঞান বা অভিপ্রায় প্রয়োজন হয় এবং এটি একাধিক ব্যক্তি দ্বারা করা হয়, তবে প্রতিটি ব্যক্তি দায়বদ্ধ।
(৭) যদি কোনও প্রভাব সৃষ্টি করা বা চেষ্টা করা অপরাধ হয়, তবে আংশিকভাবে কাজ এবং আংশিকভাবে অবহেলার মাধ্যমে সেই প্রভাব সৃষ্টি করা একই অপরাধ।
(৮) যদি কোনও অপরাধ একাধিক কাজের মাধ্যমে করা হয়, তবে যে কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে সেই কাজগুলির কোনও একটিতে সহযোগিতা করে, সেই অপরাধ করে।
(৯) যখন একাধিক ব্যক্তি অপরাধমূলক কাজে জড়িত, তারা তাদের কাজ এবং অভিপ্রায়ের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন অপরাধের জন্য দোষী হতে পারে।
JavaScript did not load properly
Some content might be missing or broken. Please try disabling content blockers or use a different browser like Chrome, Safari or Firefox.
Explanation using Example
উদাহরণ ১:
পরিস্থিতি: একটি ৬ বছরের শিশু ক্রিকেট খেলার সময় দুর্ঘটনাক্রমে প্রতিবেশীর জানালা ভেঙে ফেলে।
প্রয়োগ: ভারতীয় ন্যায় সনহিতা ২০২৩ এর ধারা ৩(১) অনুযায়ী, শিশুটিকে অপরাধমূলকভাবে দায়ী করা যাবে না কারণ সাধারণ ব্যতিক্রমসমূহের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত যে সাত বছরের কম বয়সী শিশু কোনও অপরাধ করতে পারে না। অতএব, জানালা ভাঙার শিশুর কাজ এই সনহিতার অধীনে অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয় না।
উদাহরণ ২:
পরিস্থিতি: একজন পুলিশ অফিসার, অফিসার রাজ, ওয়ারেন্ট ছাড়াই রবি, যিনি সবে একটি ডাকাতি করেছেন, তাকে গ্রেপ্তার করেন।
প্রয়োগ: ভারতীয় ন্যায় সনহিতা ২০২৩ এর ধারা ৩(১) অনুযায়ী, অফিসার রাজ ভুল আটকানোর দায়ে দোষী নয় কারণ তিনি রবি, যিনি একটি অপরাধ করেছেন, তাকে গ্রেপ্তার করতে আইন দ্বারা বাধ্য। এটি সাধারণ ব্যতিক্রমের অধীনে পড়ে যে আইন দ্বারা বাধ্য ব্যক্তি দ্বারা করা কাজ অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয় না।
উদাহরণ ৩:
পরিস্থিতি: সুনীতা, একজন দোকান মালিক, তার দোকান তার স্বামী রমেশ দ্বারা পরিচালিত হয় যখন সে বাইরে থাকে।
প্রয়োগ: ভারতীয় ন্যায় সনহিতা ২০২৩ এর ধারা ৩(৩) অনুযায়ী, সম্পত্তি (দোকান) সুনীতার দখলে বিবেচিত হয় যদিও এটি শারীরিকভাবে তার স্বামী রমেশ দ্বারা পরিচালিত হয়। কারণ সম্পত্তি তার কারণে তার স্বামীর দখলে রয়েছে।
উদাহরণ ৪:
পরিস্থিতি: একটি বন্ধুর দল, অমিত, ভরত, এবং চেতন, একটি গাড়ি চুরি করার পরিকল্পনা করে। অমিত গাড়ির জানালা ভেঙে দেয়, ভরত অ্যালার্ম নিষ্ক্রিয় করে, এবং চেতন গাড়িটি চালিয়ে নিয়ে যায়।
প্রয়োগ: ভারতীয় ন্যায় সনহিতা ২০২৩ এর ধারা ৩(৫) অনুযায়ী, তিন বন্ধু গাড়ি চুরির জন্য সমানভাবে দায়ী কারণ অপরাধমূলক কাজটি তাদের সাধারণ অভিপ্রায়ে করা হয়। তাদের প্রত্যেকেই সেই কাজের জন্য দায়ী যেন তারা একাই এটি করেছে।
উদাহরণ ৫:
পরিস্থিতি: প্রিয়া এবং নেহা তাদের সহকর্মী রোহানকে বিষ প্রয়োগ করার জন্য সম্মত হয়, তার খাবারে কয়েক দিনের মধ্যে ছোট মাত্রায় বিষ মিশিয়ে। রোহান এর ফলে মারা যায়।
প্রয়োগ: ভারতীয় ন্যায় সনহিতা ২০২৩ এর ধারা ৩(৮) অনুযায়ী, প্রিয়া এবং নেহা উভয়েই খুনের দায়ে দোষী কারণ তারা তাদের চুক্তি অনুযায়ী বিষ প্রয়োগ করে অপরাধে ইচ্ছাকৃতভাবে সহযোগিতা করে। তাদের প্রতিটি কাজ রোহানের মৃত্যুর কারণ হয়েছে, যা তাদের উভয়কেই অপরাধে দোষী করে তোলে।
উদাহরণ ৬:
পরিস্থিতি: একজন জেলর, সুরেশ, ইচ্ছাকৃতভাবে বন্দী বিক্রমকে খাবার সরবরাহ না করে, তার মৃত্যু ঘটানোর উদ্দেশ্যে। বিক্রম খুব দুর্বল হয়ে পড়ে কিন্তু মারা যায় না। সুরেশের স্থলাভিষিক্ত হয় অন্য একজন জেলর, রমেশ, যিনি বিক্রমকে খাবার সরবরাহ না করে, জেনে যে এতে বিক্রমের মৃত্যু হতে পারে। বিক্রম ক্ষুধায় মারা যায়।
প্রয়োগ: ভারতীয় ন্যায় সনহিতা ২০২৩ এর ধারা ৩(৮) অনুযায়ী, রমেশ খুনের দায়ে দোষী কারণ তার খাবার সরবরাহ না করার কারণে বিক্রমের মৃত্যু হয়। সুরেশ, যিনি রমেশের সাথে সহযোগিতা করেননি, খুনের চেষ্টা করার দায়ে দোষী কারণ তার কাজ বিক্রমের দুর্বল অবস্থার কারণ হয়েছিল কিন্তু সরাসরি তার মৃত্যুর কারণ হয়নি।
উদাহরণ ৭:
পরিস্থিতি: উত্তপ্ত তর্কের সময়, অনিল গুরুতর প্ররোচনার অধীনে রাজকে ছুরি দিয়ে আক্রমণ করে। সুরেশ, যার রাজের প্রতি ব্যক্তিগত বিদ্বেষ রয়েছে, অনিলের সাথে রাজকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে আক্রমণে যোগ দেয়। রাজ আঘাতের কারণে মারা যায়।
প্রয়োগ: ভারতীয় ন্যায় সনহিতা ২০২৩ এর ধারা ৩(৯) অনুযায়ী, অনিল গুরুতর প্ররোচনার কারণে খুনের পরিমাণে অপরাধমূলক হত্যাকাণ্ডের দায়ে দোষী। সুরেশ, যিনি প্ররোচিত হননি এবং হত্যা করার উদ্দেশ্যে ছিলেন, খুনের দায়ে দোষী। যদিও উভয়েই রাজের মৃত্যু ঘটাতে জড়িত ছিল, তারা বিভিন্ন অপরাধের জন্য দোষী।