Section 194 of BNSS : ধারা ১৯৪: আত্মহত্যা ইত্যাদি বিষয়ে পুলিশ তদন্ত ও প্রতিবেদন প্রদান করবে

The Bharatiya Nagarik Suraksha Sanhita 2023

Summary

ধারা ১৯৪ অনুযায়ী, যদি কোনো পুলিশ কর্মকর্তা আত্মহত্যা, হত্যাকাণ্ড বা সন্দেহজনক পরিস্থিতিতে মৃত্যুর তথ্য পান, তবে তাকে অবিলম্বে নিকটস্থ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে অবহিত করতে হবে এবং ঘটনাস্থলে তদন্ত করতে হবে। প্রতিবেদনটি চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে জেলা বা উপ-বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে প্রেরণ করতে হবে। যদি মহিলার মৃত্যু বিবাহের সাত বছরের মধ্যে ঘটে এবং সন্দেহজনক হয়, তবে দেহটি চিকিৎসা পরীক্ষার জন্য পাঠাতে হবে। জেলা, উপ-বিভাগীয় বা বিশেষভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ তদন্ত পরিচালনা করতে পারেন।

JavaScript did not load properly

Some content might be missing or broken. Please try disabling content blockers or use a different browser like Chrome, Safari or Firefox.

Explanation using Example

উদাহরণ ১:

রাজেশ, মুম্বাইয়ের ৩০ বছর বয়সী একজন ব্যক্তি, তার অ্যাপার্টমেন্টে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। স্থানীয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তথ্য পান যে রাজেশ সম্ভবত আত্মহত্যা করেছেন। ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সনহিতা ২০২৩-এর ধারা ১৯৪ অনুসারে, কর্মকর্তা অবিলম্বে নিকটস্থ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে, যিনি তদন্ত পরিচালনা করতে সক্ষম, অবহিত করেন। কর্মকর্তা, পাড়ার দুই সম্মানীয় বাসিন্দার সাথে, রাজেশের অ্যাপার্টমেন্টে যান, দেহ পরীক্ষা করেন, এবং কোনো ক্ষত, ভাঙ্গন বা অন্যান্য আঘাতের চিহ্নের উপস্থিতি নোট করেন। কর্মকর্তা এই ফলাফলগুলি বিস্তারিতভাবে একটি প্রতিবেদন তৈরি করেন এবং তা চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে প্রেরণ করেন।

উদাহরণ ২:

প্রিয়া, একজন যুবতী যিনি পাঁচ বছর বিবাহিত ছিলেন, তার দিল্লির বাড়িতে সন্দেহজনক পরিস্থিতিতে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। স্থানীয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তার মৃত্যুর বিষয়ে অবহিত হন, যা অন্য কারো দ্বারা অপরাধ সংঘটিত হওয়ার যুক্তিসঙ্গত সন্দেহ উত্থাপন করে। ধারা ১৯৪ অনুসারে, কর্মকর্তা নিকটস্থ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে অবহিত করেন এবং দুই সম্মানীয় প্রতিবেশীর সাথে ঘটনাস্থলে যান। তারা দৃশ্যমান আঘাতগুলি নথিভুক্ত করেন এবং একটি প্রতিবেদন তৈরি করেন। বিবাহের সাত বছরের মধ্যে মৃত্যুর কারণে, কর্মকর্তা তার দেহটি নিকটস্থ সিভিল সার্জনের কাছে একটি সম্পূর্ণ চিকিৎসা পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করেন। কর্মকর্তা চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে স্বাক্ষরিত প্রতিবেদনটি জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে প্রেরণ করেন।

উদাহরণ ৩:

সুনীতা, একজন মহিলা যিনি ছয় বছর বিবাহিত ছিলেন, বেঙ্গালুরুতে তার কর্মস্থলে যন্ত্রপাতির সাথে জড়িত একটি দুর্ঘটনায় মারা যান। স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা তথ্য পাওয়ার পর, নিকটস্থ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে অবহিত করেন এবং এলাকার দুই সম্মানীয় ব্যক্তির সাথে দুর্ঘটনাস্থলে যান। তারা সুনীতার দেহে যন্ত্রপাতির কারণে সৃষ্ট আঘাতগুলি পর্যবেক্ষণ এবং রেকর্ড করেন। একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন তৈরি করা হয়, যা কর্মকর্তা এবং সাক্ষীদের দ্বারা স্বাক্ষরিত হয়, এবং তা চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে উপ-বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে প্রেরণ করা হয়। পরিস্থিতি এবং তার বিবাহের সময়সীমা বিবেচনা করে, তার দেহটি আরও পরীক্ষার জন্য সিভিল সার্জনের কাছে পাঠানো হয় যাতে কোনো অপরাধমূলক কার্যকলাপের সম্ভাবনা বাদ দেওয়া যায়।

উদাহরণ ৪:

অর্জুন, রাজস্থানের একটি ছোট গ্রামের একজন ব্যক্তি, একটি মাঠে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়, যা পশুর আক্রমণের আঘাতের প্রমাণ দেয়। পুলিশ কর্মকর্তা এই তথ্য পাওয়ার পর, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে অবহিত করেন এবং দুই স্থানীয় বাসিন্দার সাথে ঘটনাস্থলে যান। তারা অর্জুনের দেহ পরীক্ষা করেন, যা পশুর আক্রমণের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ আঘাতগুলি নোট করেন, এবং মৃত্যুর আপাত কারণের উপর একটি প্রতিবেদন প্রস্তুত করেন। প্রতিবেদনটি কর্মকর্তা এবং সাক্ষীদের দ্বারা স্বাক্ষরিত হয় এবং তা চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে প্রেরণ করা হয়। অপরাধের কোনো যুক্তিসঙ্গত সন্দেহ না থাকায়, দেহটি আরও চিকিৎসা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় না।

উদাহরণ ৫:

মীরা, একজন মহিলা যিনি তিন বছর বিবাহিত ছিলেন, তার বাড়িতে এমন পরিস্থিতিতে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় যা অপরাধমূলক কার্যকলাপের ইঙ্গিত দেয়। তার বাবা-মা, সন্দেহ করেন যে তাকে হত্যা করা হয়েছে, একটি সম্পূর্ণ তদন্তের অনুরোধ করেন। পুলিশ কর্মকর্তা, ধারা ১৯৪ অনুসারে, নিকটস্থ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে অবহিত করেন এবং দুই সম্মানীয় স্থানীয় ব্যক্তির সাথে মীরার বাড়িতে যান। তারা আঘাতের কোনো চিহ্ন নথিভুক্ত করেন এবং একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রস্তুত করেন। তার মৃত্যুর সন্দেহজনক প্রকৃতি এবং পরিবারের অনুরোধের কারণে, মীরার দেহটি একটি যোগ্য চিকিৎসা পেশাদারের কাছে একটি বিস্তারিত পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। প্রতিবেদনটি স্বাক্ষরিত হয় এবং তা চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে উপ-বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে প্রেরণ করা হয়।

উদাহরণ ৬:

বিক্রম, একজন কারখানা কর্মী, চেন্নাইতে ভারী যন্ত্রপাতির সাথে জড়িত একটি কর্মস্থল দুর্ঘটনায় মারা যান। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এই তথ্য পাওয়ার পর, নিকটস্থ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে অবহিত করেন। সম্প্রদায়ের দুই সম্মানীয় সদস্যের সাথে, কর্মকর্তা ঘটনাস্থল এবং বিক্রমের দেহ পরীক্ষা করেন, যন্ত্রপাতির কারণে সৃষ্ট আঘাতগুলি নোট করেন। একটি প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয় এবং তা স্বাক্ষরিত হয়, তারপর তা চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে প্রেরণ করা হয়। বিক্রমের মৃত্যু দুর্ঘটনার কারণে এবং কোনো অপরাধমূলক কার্যকলাপের সন্দেহ না থাকায়, দেহটি আরও চিকিৎসা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় না।